নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ বছর এদেশে নির্বিচারে হত্যা গুম খুন হয়েছে। সব শেষ নিষ্পাপ তরুণ ছাত্রজনতাকে যেভাবে ফ্যাসিবাদ সরকার দমন করার চেষ্টা করেছে তার খুবই ভয়াবহ ছিল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাশ পড়েছিল। ছাত্রজনতার রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মানচিত্র। এত হত্যা স্বাধীনতার পর আর দেখেনি বাংলার মানুষ। ফ্যাসিবাদী সরকারের মসনদ টিকিয়ে রাখিতে যেসকল হত্যা হয়েছে সকল হত্যার বিচার হবে বাংলার মাটিতে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্ত্বরে এসব কথা বলেন বিএনপির ত্রাণ ও পূণঃবাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন।
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে কুমিল্লায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিন দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড়, টমছম ব্রিজ, নগর উদ্যান, পুলিশ লাইন্স, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডসহ নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা ইয়াছিন।
সকালে কুমিল্লার নগর উদ্যান ও কান্দিরপাড় পূবালী চত্ত্বরে দেখা গেছে, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাবেক আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ভিপি জসিম উদ্দিন, সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক মহানগর আহবায়ক ও বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহবায়ক আনোয়ারুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, সদর দক্ষিণ পূর্ব বিএনপির সাবেক সভাপতি এসএ বারি সেলিমকে, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রদল নেতা তোফায়েল আহমেদসহ মহানগর, দক্ষিণ জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সারাদিন নেতাকর্মীদের সরব অবস্থান দেখা গেছে নগরীজুড়ে।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা ও আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিচারের দাবিসহ শেখ মজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে তাই অবস্থান নিয়েছেন তারা।
বিএনপি নেতা হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মা কুমিল্লার গডফাদার বাহারের সন্ত্রাস বাহিনী নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আত্মগোপনে রয়েছে। তারা যাতে কোনো প্রকার অরাজকতা না করতে পারে এ জন্য আমরা আজকে কেন্দ্রীয় নির্দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যা ও আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিচারের দাবি করছি।